প্রবন্ধ- পরিবেশ ও পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ ও পরিবেশ রক্ষা
-শচীদুলাল পাল

পারিপার্শ্বিক ভৌত অবস্থা, জলবায়ু ও অন্যান্য প্রভাব বিস্তারকারী জীব ও জৈব উপাদান ইত্যাদির সামুহিক রূপই পরিবেশ।পরিবেশের উপাদান দ্বারা প্রাণী জগৎ, উদ্ভিদ প্রভাবিত হয়।
গাছপালা, নদীনালা,খালবিল, রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি, জল,সূর্য, মাটি, বায়ু,পশুপাখি, বিদ্যালয় ইত্যাদি। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক সব কিছুই পরিবেশের অংশ।গাছপালা পাহাড় পর্বত ঝর্ণা নদী ইত্যাদি প্রকৃতির সৃষ্টি। আর ঘরবাড়ি নগরায়ন বন্দর কলকারখানা ইত্যাদি মানুষ সৃষ্টি করে। প্রকৃতি সৃষ্ট সুন্দরবন, সুন্দরী গাছ, ম্যানগ্রোভ ,অপরূপ তার শোভা। জলে কুমীর ডাঙ্গায় বাঘ। ফুলে ফুলে ভ্রমর প্রজাপতি দোল দিয়ে যায়।নদীর জলে কত রকমারি মাছ ও নানান জলজ প্রাণী স্বছন্দে করে খেলা।
সূর্যোদয়ে সূর্যাস্তের রক্তিম আভায় নৈসর্গিক শোভা।
বনে জঙ্গলে পশুপাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র। “বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।”
সমুদ্রে অনন্ত জলরাশি ঢেউ হয়ে সৈকতে আছড়ে পড়ে। সূর্যের আলোয় মনে হয় অজস্র ফনি মনি মাথায় ফনা তুলে ধেয়ে আসে। আমাদের ঘরের সামনেও কত প্রাকৃতিক পরিবেশে মন ভরে যায়।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন “বহুদিন ধরে বহু পথ ঘুরে বহু ব্যয় করে বহুদেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু, দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হইতে শুধু দুপা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।”
প্রকৃতি সৃষ্ট সাইক্লোন, আয়লা, আমফানের মতো ঝড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধূলিস্যাৎ, লণ্ডভণ্ড তছনছ হয়ে যায়।এবারে আমফানের ঝড়ে সুন্দরবনে ১০০০০ এর বেশি গাছ ভূপতিত ।অত্যধিক বৃষ্টির ফলে বন্যা এবং ফলস্বরূপ পরিবেশে অভিশাপ নেমে আসে।

পরিবেশ দূষণ
———————–
এই পরিবেশ নানান ভাবে দূষিত হয়। আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্ভুত লাভা যেভাবে দূষিত হয় তা প্রকৃতির নিজস্ব সৃষ্টি। মানুষ দ্বারা বিভিন্ন কারণে দূষিত হয় সেটি ধ্বংসাত্মক। তার মধ্যে কীটনাশক গুলি খাদ্যে
প্রভাব ফেলে। অলড্রিন,ক্লোরোডেন,এন্ড্রিন,হেপাক্লোর,ডিডিটি, মিরেক্স,টক্সাফোন ক্যামিক্যাল।
শিল্পজাত হলো ডাইওক্সিন ফিউরান।
খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ গুলি ত্রুটি পূর্ন শিশুর জন্ম দেয়।ভ্রূণ বিকাশে নানান সমস্যার মূলে দায়ী।
পরিবেশ দূষণ বর্তমানে এক জলন্ত সমস্যা।দূষণের পরিনামে আজ মানব সভ্যতার অস্তিত্ব বিপন্ন।দূষণ বলতে মূলতঃ বায়ু দূষণ, জলদূষণ, শব্দদূষণ মাটিদূষণ প্রভৃতি।
সৃষ্টির সময় থেকে মানুষ ছিল পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। মানুষ ও পরিবেশ এক সূতোয় বাঁধা।কিন্তু যেমনি যেমনি সভ্যতার বিকাশ শুরু হলো তেমনি শুরু হলো বিশৃঙ্খলা। পরিবেশকে ইংরেজিতে বলা হয় Environment. (এটি একটি ফরাসী শব্দ।) মানে বেষ্টন বা ঘেরা।
মানুষের জীবন ধারনের জন্য প্রধানত প্রয়োজন বায়ুর অক্সিজেন আর পাণীয় জল।তাই মানুষ আজ এই দুটির সন্ধানে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে অনুসন্ধান করে চলেছে। তার মধ্যে বায়ুর অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী এক মুহূর্ত বাঁচতে পারেনা। অক্সিজেন গ্রহণ প্রতিটি প্রাণীর জন্মসিদ্ধ অধিকার।
সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এসেছে মোটরযান, কলকারখানা ইত্যাদি। আর এইসব থেকে বায়ু দূষণ ব্যপক হারে বাড়ছে।জালানি কয়লা থেকে,থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে, মোটরযান থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড বায়ু দূষণের অন্যতম কারন। মানুষকে স্বাভাবিক অক্সিজেন গ্রহণ করতে দিচ্ছে না।ফলস্বরূপ হাঁপানি,ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ব্যাধি, শ্বাসকষ্ট, ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সৃষ্টি করছে। কলকারখানার চিমনি থেকে সালফার ডাইওক্সাইড সহ ৭০০ এর অধিক বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে। যেগুলি থেকে মারাত্মক সব ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে।দুরারোগ্য ব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণ।
২ রা ডিসেম্বর ১৯৮৪ ভুপালে,ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায় যে গ্যাস কান্ড গ্যাস ট্র‍্যাজেডি ঘটেছিল তা আজও পৃথিবীর সেরা বায়ু দূষণ। মিথাইল আইসোসায়ানেট লিক থেকে গভীর রাতে কারখানা সংলগ্ন লোকালয়ে৫ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকারি পরিসংখান অনুযায়ী ২৫০০০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।আসল সংখ্যা আরও বেশি।
মশার উপদ্রব থেকে আমরা যেসব মশামারার বা বিতাড়নের কয়েল বা লিকুইড জালিয়ে থাকি সেগুলো থেকে বিষাক্ত গ্যাস বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণ।

বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণের হার বেড়েই চলছে। তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে জলবায়ুর ওপর। যার ফলে জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ পৃথিবীর তাপমাত্রা ব্যাপকহারে বাড়ছে যা গ্রিন হাউজ ইফেক্ট নামে পরিচিত। এক জার্মান গবেষণা সংস্থার তথ্য মতে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৯০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রিন হাউজ ইফেক্টের কারণে সমুদ্রের জল ২০ থেকে ১৪০ সে.মি বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার অনেক দেশই ডুবে যাবে।
বায়ুদূষণের ফলে বায়ুমন্ডলে যে ৩ কি. মি.পুরু ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে ভবিষ্যতে এসিড বৃষ্টি হবে।

জল দূষণ।
গঙ্গার জল অত্যন্ত পবিত্র। পান করলে অনেক রোগ ব্যাধি দূর হয়। সেই গঙ্গার জল আজ প্রদূষিত।দেড় লক্ষের মতো জীবানুতে ভর্তি।পান করলে নির্ঘাত ব্যাধি। গঙ্গা যেখানে পাহাড় থেকে প্রথম সমতলে আসছে,সেটি হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি।সেখানে জল পানযোগ্য। সচক্ষে দেখেছি অনেক মানুষ, তীর্থযাত্রী পান করছে। যেমনি ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে বইয়ে চলেছে তেমনি প্রদুষিত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। ভারতের সভ্যতার সাথে প্রথম শহর সব বড় নদীর ধারে গড়ে উঠেছিল। আর এখন সেই শহর থেকে বর্জ্য পদার্থ সব এসে গঙ্গা সহ নদ নদীতে এসে পড়ে দুষিত হচ্ছে।সেই জল আবার ফিল্টার করে শহরে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্রামে আগে যখন জৈব সার ব্যবহার হতো তখন চাষি বর্ষায় ক্ষেতের জল, পুকুরের জল খেত।
এখন রাসায়নিক সারের প্রয়োগের ফলে রাসায়নিক মিশ্রিত জল পড়ছে পুকুরে,ডোবায়,বিভিন্ন জলাশয়ে, অগভীর কূপে।সেই জলপানে নির্ঘাত রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।জলই জীবন। আবার সেই জল থেকেই জলবাহিত নানান রোগ।

মাটি দূষণ।
মাটি দূষণ এর মূল কারন রাসায়নিক সার,প্লাস্টিকের ব্যবহার।রাসায়নিক সার প্র‍য়োগে উৎপন্ন ফসলে পরীক্ষাগারে টেষ্ট করে দেখা গেছে। মারাত্মক বিষ আমরা নিয়মিত অজান্তে খেয়ে চলেছি।পরিনামে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস, লিভার,কিডনি,অন্ত্রের রোগ,ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধি।

প্লাস্টিক দূষণ এক জলন্ত সমস্যা।
প্লাস্টিক মাটির অভ্যন্তরে থাকলে সেটি হাজার বছরেও বিনষ্ট হয়না। প্লাস্টিক শুধু ফসল নয়, যেকোনো উদ্ভিদ জগতের হানিকারক।প্লাস্টিক বর্জ্য জলে নদীতে পুকুরে পড়ে। সেই জল মাছে খায়। সেই মাছ আমরা খায়। সুতরাং বিষগ্রহণ থেকে আমাদের রেহাই নাই।আমরা যে খাবার গ্রহণ করছি।
রাসায়নিক সারে উৎপন্ন ধান গম।কীটনাশক দ্বারা কীটহীন তরিতরকারি। কাঁচা ফল পাকা করার ওষুধ। সবই মারাত্নক বিষ।অর্থাৎ সভ্যতার সাথে সাথে সবই দূষিত।

শব্দদূষণ।
শব্দদূষণ পরিবেশের এক গভীর সমস্যা।কলকারখানার উচ্চশব্দ, যন্ত্রচালিত গাড়ির হর্ন, বাজি-পটকার শব্দ মাইক্রোফোনের আওয়াজে মানুষের শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে । মানসিক বিপর্যয়, রক্তচাপ বৃদ্ধি, স্নায়বিক অস্থিরতা প্রভৃতি নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি করছে ।
নানান বিকট শব্দ আমাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে বধিরতার শুধু সৃষ্টি করেনা, উচ্চরক্তচাপ, হাইপারটেনশন,মানসিক রোগ, খিটখিটে স্বভাব সৃষ্টি করে।
আর এই শব্দদূষণ ঘরে বাইরে সর্বত্র। কানে হেডফোনে লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকা মারাত্মক ক্ষতিকর।
ঘরের নির্মল শান্ত পরিবেশকে দূষিত করে জোরে জোরে টিভির আওয়াজ। ধ্যান প্রাণায়াম বিঘ্নিত করে। পড়াশোনার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে।সিরিয়ালের কলহ, উচ্চস্বরে ডায়লগ মনকে অশান্ত করে। বিপরীত পথে পরিচালিত করে।দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ,অসহিষ্ণুতার কারণ। ছাত্র ছাত্রীদের সহিষ্ণুতার অভাব উগ্র স্বভাব, গুরুজনদের কেয়ার করিনা র মতো স্বভাব সৃষ্টি করছে।
শব্দদূষণ মুনি- ঋষি, বিজ্ঞানী, গবেষক,বিদ্যার্থী,সাহিত্যিক, শিক্ষক প্রভৃতি বুদ্ধিজীবীদের উন্নতির অন্তরায়।

খাদ্যদূষণ।

প্রতি পরিবারে আজ একটা করে ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। এর মূলেও খাদ্যদূষণ। আজকাল মাছ মাংস ডিম সব প্লাস্টিকের তৈরিও পাওয়া যায়।এগুলি তৈরি হয় চীনে। অসাধু ব্যাবসায়ীদের হাত ঘুরে এই সব নকল জিনিস ঢুকে যাচ্ছে গৃ্হস্থের রান্না ঘরে। ঘীতে মৃত পশুর চর্বি।নকল তেল দুধ ও ফল। কাঁচা ফল গাছ থেকে পেড়ে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি হয়।ভাগাড়ের মাংস বড় বড় হোটেলে সাপ্লাই হয়। মাছে ফরম্যালিন দিয়ে রাখলে মাছ তাজা দেখাবে কিন্তু এই ফরম্যালিন এক মারাত্মক বিষ।স্লো পয়জন। সুতরাং নিরামিষ ও আমীষ দুই ধরনের খাদ্যবস্তু বিষাক্ত। ধীরে ধীরে রোগাক্রান্ত করে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

করোনা ভাইরাস, জীবানু স্প্রে, পঙ্গপাল ইত্যাদি পরিবেশ তথা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
অন্যদেশকে ধ্বংস করে নিজে সারা পৃথিবীর একছত্রপতি হবো এই ধারনায় সৃষ্টি করলো বিজ্ঞানীরা এক মারন ভাইরাস যার নাম কোভিন্দ 19 বা করোনা।যে হারে আক্রান্তের ও মৃত্যুর হার বাড়ছে তাতে মানব সভ্যতা বিপন্ন। উপযুক্ত চিকিৎসা বা ভ্যাক্সিন আবিস্কার না হলে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইতিপূর্বে আমরা জানি চিকনগুনিয়া জীবাণু স্প্রে বা আনবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক দেশকে ধ্বংস করার কাজে লাগিয়েছিল শত্রু দেশের সামরিক বাহিনী। জল বসন্ত কলেরা প্লেগ টিবি জীবাণু পরিবেশকে দূষিত করে মহামারী সৃষ্টি করেছিল।বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত ভ্যাক্সিন ও ওষুধই মহামারী প্রতিরোধ করেছিল।

দাবানল
দাবানল পরিবেশ ধ্বংসের এক জলন্ত সমস্যা। দাবানলের কবলে এমাজনের মতো বিখ্যাত বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের দেশেও দাবানলে বহু বনাঞ্চল পুড়ে গেছে।আমি সচক্ষে দেখেছি দলমার দাবানলের আগুন। দীর্ঘদিন ধরে জ্বলেছিল।

পঙ্গপাল
———-
এক মারাত্মক কীট ঝাঁকে ঝাঁকে একসাথে আসে শস্য বা ফসল খেতে ঢুকে সব শস্য সাবাড় করে ফেলে। পঙ্গপাল মেরে ফেলার ব্যাবস্থা না করলে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।মানুষই খাবার পাবেনা। পঙ্গপাল যেমন কোটি কোটি এক দলে থাকে তেমনি এরা বংশবিস্তার করে অতি দ্রুত।

সামাজিক পরিবেশও দূষিত হচ্ছে মোবাইলে। আগে ছাত্র-ছাত্রীরা যথেষ্ট সময় খেলাধুলা পড়াশোনায় ব্যয় করত।বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার সাহিত্যিক সৃষ্টি হতো।কিশোর কিশোরী প্রেম প্রেমপত্রেই সীমাবদ্ধ থাকতো। এখন প্রেমের দ্বার উন্মুক্ত। পড়ার টেবিলে মোবাইলে চ্যাট। সেল্ফি পাঠানো চল।কিশোর কিশোরীর মনকে বিভ্রান্ত করছে। মনযোগ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। মোবাইলে হট ফিল্ম দেখে উত্তেজিত হচ্ছে এবং আসক্ত হচ্ছে। তাদের ক্যারিয়ার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। অভিভাবক দেরীতে হস্তক্ষেপ করার ফলে এবং মোবাইল কেড়ে নিলে সুইসাইড এর মতো ঘটনাও ঘটছে।মানসিক রোগাক্রান্ত হচ্ছে।বহু ছাত্র ছাত্রী এই মোবাইলের কুপ্রভাবে কম বয়সে নিজের জীবনকে নষ্ট করছে। ( যদিও মোবাইলে ৯৯% শিক্ষনীয় বিষয় আছে।) অভিভাবক শিক্ষক সমাজ সংস্কারক দের এগিয়ে আসতে হবে শিশু কিশোর কিশোরীদের রক্ষার্থে।

প্রতিকার।
এই সব দূষনের হাত থেকে বাঁঁচতে হলে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে।গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে প্রচুর অক্সিজেন বায়ু মন্ডলে আমাদের সরবরাহ করবে।গাছপালায় ভূমিক্ষয় রোধ করবে।
কলকারখানা থেকে নির্গত জল ট্রিটমেন্ট করে যথাসম্ভব বিশুদ্ধ করে ছাড়বে।নদীজল দূষন রোধে যাবতীয় ব্যাবস্থা নিতে হবে।নকল, ভেজাল আর রাসায়নিক প্রয়োগ বন্ধে সরকারকে টাস্ক ফোর্স গঠন করে অপরাধীকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে সেমিনার প্রচার করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনচেতনা গড়ে তুলতে হবে।কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ কলমও অজান্তে নিত্য বিষ গ্রহনের হাত থেকে রক্ষা করে সুস্থ স্বাভাবিক ও দীর্ঘজীবন দান করবে। পরিবেশ রক্ষায়, বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? যে বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাসের মতো মারণ ভাইরাস আবিষ্কার করে মানবসভ্যতা ধ্বংসের সৃষ্টি করেছে। তেমনি একদিন বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন ও ওষুধ আবিষ্কার করে সফল হবে। মানবসৃষ্ট এই মারণ ভাইরাস এই বিশ্ব থেকে নির্মূল করবে।এই মারাত্মক পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

Loading

Leave A Comment